অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে গ্রেনেড হামলা
৪ মার্চ ২০২৫ ২১:০২ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৫ ২১:০৫
সার্বিয়ার স্প্রিং পার্লামেন্টারি সেশনে দুপক্ষের চরম বিতর্কের এক পর্যায়ে সংসদে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন এক বিরোধীদলীয় নেতা। এ সময় সরকারদলীয় একজন আইনপ্রণেতা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে অবস্থিত সংসদে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার মাস ধরে চলা ছাত্র আন্দোলনটি শিক্ষকদের, কৃষকদের এবং অন্যান্যদেরকে নিয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে পরিণত হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচ-এর দশকব্যাপী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হুমকি। হাজারো সার্বিয়ান সরকারের দুর্নীতি ও অযোগ্যতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিবেশনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার তাদের এজেন্ডা অনুমোদন করেছিল, সেসময় কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ তাদের আসন ছেড়ে স্পিকারের দিকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েকজন স্মোক গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে পার্লামেন্টের ভেতরে কালো এবং গোলাপী ধোঁয়া দেখা যায়।
স্পিকার আনা ব্রনাবিচ বলেন, ‘দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন, এসএনএস পার্টির জাসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোক করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
বিরোধীদলীয় ডেপুটিরা ‘সাধারণ ধর্মঘট’ এবং ‘নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ধরেছিলেন। অন্যদিকে ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৫ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেছিলেন।
প্রতিবাদকারী নেতারা ১৫ মার্চ রাজধানী বেলগ্রেডে একটি বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এইচআই