গাবতলী বেড়িবাঁধ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৯ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:২০
ঢাকা: রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। অভিযানে অন্তত অর্ধশতাধিক আড়ৎ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় ইট, পাথর ও বালুর আড়ৎ ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম।
উচ্ছেদ অভিযানের পর সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব। সিটি করপোরেশনের এসব জায়গা দখলমুক্ত করে মাঠ ও পার্ক করা হবে। খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক সেগুলো জনগণের সম্পত্তি। ঢাকা শহরের মানুষ এসব মাঠে ও পার্কে যাবে, খালি জায়গায় ঘুরাফেরা করবে এটা জনগণের অধিকার। বর্তমানে ঢাকা শহরে খালি জায়গায় অনেক অভাব। এছাড়া সিটি করপোরেশনের অনেকগুলো জায়গা রয়েছে যেগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ করা হয়। এই বেড়িবাঁধের (গাবতলী বেড়িবাঁধ) রাস্তার দুই পাশে ডিএনসিসির সবচেয়ে বড় প্রায় দেড়শো একর জায়গা আছে। এর বেশির জায়গা দীর্ঘ সময় ধরে দখল করে রাখা হয়েছে। এগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। আজকে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অবৈধভাবে দখল করে নানা কর্মকাণ্ড করছে। ইটের, পাথরের আড়ৎসহ নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করছে অবৈধভাবে। তারা সিটি করপোরেশন থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি, একটি পয়সাও এখান থেকে সিটি করপোরেশন রাজস্ব পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে কোন নোটিশের প্রয়োজন নাই। তারা আমাদের না জানিয়ে দখল করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এই জায়গা উদ্ধার করা হবে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে সাত দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি করপোরেশনকে ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করবে। কোনো প্রকার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ দখলদারিত্ব আর চলবে না।’
সারাবাংলা/এমএইচ/এসডব্লিউ