দাম বেঁধে দেওয়ার পর ‘উধাও’ তেলের হদিস পেলেন চসিক মেয়র
৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫২ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজার পরিদর্শনে গিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি খুচরা বিক্রেতাদের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও জেলা প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যে তেল বিক্রি করার নির্দেশ দেন।
এদিকে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণসহ অবৈধ মজুদের বিষয়ে চসিক ও জেলা প্রশাসনের হুঁশিয়ারির পর বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ‘উধাও’ হওয়া সেসব তেলের হদিস পেয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (৫ মার্চ) নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে পরিদর্শনে যান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় খোলা সয়াবিন তেলের আমদানিকারক থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোজ্যতেলের আমদানিকারকরা পাইকারি ব্যবসায়ী বা ডিলারদের কাছে তেল বিক্রি করবেন ১৫৩ টাকায়। ডিলাররা সেটা খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রি করবেন ১৫৫ টাকায়। আর বাজারে সেটা খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবেন সর্ব্বোচ্চ ১৬০ টাকায়। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন দোকানে তেল আছে কি না এবং তেলের মূল্য তদারকি করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। যেসব দোকানে মূল্যতালিকা নেই তাদের দ্রুত রাখার নির্দেশ দেন।

নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বাজার পরিদর্শন শেষে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গলবার পর্যন্ত আমরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে দেখতে পেয়েছিলাম, বোতলজাত সয়াবিন গায়েব ছিল। কোথায় যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ (বুধবার) থেকে দোকানে আমরা বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখতে পাচ্ছি। আমি আশাবাদী, কাল থেকে আরও বেশি সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাবে।’
‘আমরা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে খোলা তেলের দাম নির্ধারণ করে ডিক্লেয়ার দিয়েছিলাম। সেটা দেখতেই মনিটরিং করতে এখানেই এসেছি। আগে যেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি করা হতো, সেটা এখন ১৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি টিম খাতুনগঞ্জে গেছে। সেখানে ব্যবসায়ীয়া ১৫৫ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের তেল বিক্রি করছে কি না, সেটা মনিটরিং করছে। নির্ধারিত এ তেলের দাম যতক্ষণ পুরো চট্টগ্রামে ১০০ শতাংশ কার্যকর না হবে ততদিন আমাদের অভিযান চলবে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করবে। যারা নির্দেশনা মানবে না তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
সারাবাংলা/আইসি/ইআ