১২ মার্চের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি পূরণের আল্টিমেটাম ইউমব’র
৫ মার্চ ২০২৫ ২০:৩১ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ২৩:২৬
ঢাকা: আগামী ১২ মার্চের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছে দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোট ‘ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস অব বাংলাদেশ’ (ইউমব)। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে এবং হাইকোর্ট কর্তৃক ‘ডাক্তার’ পদবী সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হলে সকল চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি ও ক্লাস বর্জন করবেন এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বুধবার (৫ মার্চ) ইউমব এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রীপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ নামের পূর্বে ‘ডাক্তার’ পদবী ব্যবহার করতে পারবে না এবং আদালতে চলমান এই সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট আগামী ১২ই মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করা; রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না এই মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা; আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনঃনির্ধারণ এবং মানহীন সব ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা; জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে শূন্য পদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করা; অনতিবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) প্রণয়ন করা।
‘দেশের স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এসব দাবি করা হয়েছে’- এমন দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করার জন্য আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল, যার ফলে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বেআইনিভাবে তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে দেশের সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। বিগত ১৩ বছরে ৯০ বার কজ লিস্টে আসার পর, এমনকি শুনানির পর্ব গত তিন মাস আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নানাবিধ অদৃশ্য কারণে এই রিটের রায় প্রদান করা হচ্ছে না। এভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রিটকে বারবার পেছানোর মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির মৌলিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে বর্তমানে তিনটি রিট চলমান। এগুলো হলো- ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত ২৭৩০/২০১৩, ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত ‘বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ এর ধারা ২৯’কে চ্যালেঞ্জ করে ১৩০৪৬/২০২৪ এবং আপডেটেড ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বৈধতা চেয়ে ১৩৪৬২/২০২৪। অনতিবিলম্বে এসব রিটের নিষ্পত্তিকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান চিকিৎসক সমাজের। অন্যথায় দেশের সচেতন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনতা ক্রমান্বয়ে আদালত এবং সরকারের উপর আস্থা হারাতে বাধ্য হবে বলেও মনে করেন তারা।
সারাবাংলা/এমএইচ/আরএস