সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী-আসাদপন্থিদের সংঘর্ষ, নিহত ৭০
৭ মার্চ ২০২৫ ১৪:১২ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩১
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত বিমানঘাঁটির কাছে লাতাকিয়া প্রদেশে দেশটির নতুন সরকারের বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদ অনুসারীদের ব্যাপক সংঘর্ষে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরে ওই এলাকায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে সিরিয়ার গনমাধ্যম জানায়, সরকার-সমর্থিত বাহিনী জাবলেহ লাতাকিয়া প্রদেশসহ আশপাশের এলাকায় আসাদের প্রায় ৭০ যোদ্ধাকে হত্যা করে। এদের মধ্যে ২৫ জনেরও বেশি আসাদ সমর্থককে আটক করেছে তারা।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষ ঘটছে। এতে হোমসের আবাসিক রাস্তায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার ও মৃত্যুর জন্য জোর দিচ্ছে। পছন্দটি স্পষ্ট, আপনার অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।’
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলের নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো।
এই সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে বলেছিলেন, নতুন সরকার আসাদের অধীনে উৎপাদিত অবশিষ্ট যেকোনো মজুত ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে সহিংস হামলার কয়েকটি। এর বাইরে আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র ও আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, বিশাল সামরিক শক্তি জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ