চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০ জন
৮ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪৩ | আপডেট: ৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:২২
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৮মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিতুদহ মাঝপাড়া এলাকার মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভিজিএফ কার্ড বিতরণ ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টোটনের সমর্থকরা সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও সংঘর্ষে সভাপতি মিলন ও সাধারণ সম্পাদক টোটনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা বলেন, আমার স্বামীকে আমার সামনে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় সাগর, খালেক ত্রিপুরা, মিলন, টোটন, আকাশ, বিল্লাল, সুজন, মাসুদসহ আরও ৩ জন হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন।
খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ’র কার্ড বিতরণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১জন নিহত হয়েছেন। দুপুর ১টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারবাংলা/এসআর