পঞ্চগড়: জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আল আমিন (৩৭) নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যেুতে বিজিবি পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, এতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী ও বিএসএফ এর পক্ষে শিলিগুড়ি সেক্টরে কমান্ডার পিকে সিং। এ সময় বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কমান্ড্যান্ট সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বৈঠক শেষে বিজিবির ঠাকুরগাঁ সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের জানান, গত ৮ মার্চ পঞ্চগড় সদর উপজেলার সুঁইডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৭) নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়। বিজিবি পক্ষ থেকে বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে সীমান্তে বিএসএফ মরনাস্ত্রের ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরও জানান, বিএসএফ এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সর্তক থাকবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছে। এ ছাড়া নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুতই হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে বলা হয়েছে, সীমান্তে কেউ আটক হলে তার সঙ্গে মরনাস্ত্রের ব্যবহার না করে অন্য কিছুর ব্যবহার করা যেত। সেই সঙ্গে বিজিবিকে জানালে বিজিবি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করত।
সেক্টর কমান্ডার গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি টহল দিনরাত ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। সীমান্তের অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, সীমান্ত হত্যা বন্ধে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামুলক সভা, কর্মসংস্থান করে পূর্নবাসন করা হচ্ছে। এ ছাড়া সব সময় গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’