চুরি করতে গিয়ে আটক ধর্ষক, জানা গেল সে হত্যাকারীও
১০ মার্চ ২০২৫ ২৩:০৩
পঞ্চগড়: আন্তঃনগর ট্রেন একতা এক্সপ্রেসে পরিচয়। তার পর তরুণীকে পঞ্চগড়ের কিসমত এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখে রেললাইনে। এমন নৃশংস হত্যাকারীর নাম রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। সে ক্রাইম থ্রিলার সিনেমার মতো সব কিছু লুকালেও শেষ রক্ষা হলো না তার। ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে সে। এর পর তার কাছে পাওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের কাহিনি।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী। জানা গেছে রিফাত বিন সাজ্জাদের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলা কিসমত এলাকায় রেললাইনে অজ্ঞাত এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। হত্যাকাণ্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারছিল না পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ঠাকুরগাওয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ নিয়ে দাফন সম্পন্ন করে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরও আসামি সাজ্জাদ একের পর এক অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে তার মোবাইলে একটি নারীকে বেঁধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।
সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেওয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে শরীরের বিভিন্ন স্থান চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় রেললাইনে।
এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দেওয়ার পর তাকে তুলে দেওয়া পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দু’টি মামলা হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
সারাবাংলা/পিটিএম