রাজশাহীতে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত রিকশাচালকের মৃত্যু
১১ মার্চ ২০২৫ ২১:৪০ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ২৩:২২
রাজশাহী: রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া রিকশাচালক মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত রিকশাচালকের নাম গোলাম হোসেন রকি (৪৮)। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। রিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এ ছাড়া তার মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তার জ্ঞান ফেরেনি। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেওয়া হয়েছিল।
হামলায় আহত হওয়ার পর রোববার (৯ মার্চ) গোলাম হোসেন রকির স্ত্রী পরিবানু বেগম বোয়ালিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়েরও করেন। সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেন। তবে তা পুলিশ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন পরীবানু বেগম।
এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হাসান। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে এ রকম কেউ আহত হয়েছিল বলে আমার জানা নেই। সে মারা গেছে বলেও কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখি।’
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান এবং তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ। তখন ককটেল ফাটানো হয়, গুলিরও শব্দ শোনা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক গোলাম হোসেন ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন একটি গ্রুপ তাকে আরেক গ্রুপের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গোলাম হোসেনের মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্য সচিব মামুনুর রশিদকে ফোন করা হলে তারা ধরেননি। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সারাবাংলা/এইচআই