থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধর
মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সেই তরুণকে
১১ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৮ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ২৩:২২
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে গভীর রাতে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সহ চার পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় আবদুর রাজ্জাক ওরফে ফাহিম (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
রাতে ডিএমপির পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার পর আবদুর রাজ্জাক পল্লবী থানায় ঢোকেন। এ সময় তিনি থানার ওসি নজরুল ইসলামের কক্ষে যান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং খুনের ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ কী করছে, তা জানতে চান। ওসি তাকে বলেন, ‘পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’ তখন রাজ্জাক বলেন, ‘আপনারা কিছুই করছেন না; খুন হয়েছে জানেন না।’
তিনি বলেন, ‘ওসি ওই তরুণকে তখন বলেন, কোথায় খুন হয়েছে, আমি জানি না। তখন ওই তরুণ বলেন, আপনার ডিউটি অফিসার জানে, আর আপনি জানেন না। এর পর আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন ওসি ওই তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। ডিউটি অফিসারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও ঘটনা জানেন না বলে জানান। এর পর ডিউটি অফিসারের কক্ষে সেবা নিতে আসা দুই ব্যক্তিকে দেখিয়ে তরুণ রাজ্জাক বলেন, তারা খুনের কথা জানেন। ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারাও বিষয়টি জানেন না বলেন। এ সময় অভিযুক্ত রাজ্জাক সেবা নিতে আসা দুই ব্যক্তিকে কিল-ঘুষি মারেন। সেখানে কর্তব্যরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন এগিয়ে গেলে তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে নাসিরের একটি আঙুল ভেঙে যায়। ওসি পুলিশ কর্মকর্তা নাসিরকে রক্ষা করতে গেলে উত্তেজিত রাজ্জাক ওসিকে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারেন। ওই পরিস্থিতিতে তরুণকে হাতকড়া পরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক জানিয়েছে, তারা কয়েকজন গাজীপুর থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে পল্লবী থানা এলাকায় ঘুরতে এসেছেন। মাইক্রোবাসসহ বাকি তিনজন থানার বাইরে কালশী এলাকায় আছেন। পরে পুলিশ থানার বাইরে গিয়ে মাইক্রোবাসসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। তারা রাজ্জাকের বন্ধু। মাইক্রোবাসে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লোগো লাগানো ছিল। রাজ্জাকের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুরে। তার বাবা একটি বায়িং হাউজের কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এমএইচ/পিটিএম