পাকিস্তানে ট্রেনের ৩০০ জিম্মি মুক্ত, ৩৩ হামলাকারীসহ নিহত ৫৮
১৩ মার্চ ২০২৫ ১০:৪৯ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১২:৫৬
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ট্রেনে জিম্মি হওয়া ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেনটিতে চালানো অভিযানে নিহত হয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৩৩ জন সদস্যসহ মোট ৫৮ জন। ট্রেনে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বুধবার (১২ মার্চ) সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রেনে হামলা ও যাত্রীদের জিম্মির ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি। যাত্রীবাহী ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সেনা মুখপাত্র জানিয়েছে, যখন ট্রেনটি আক্রমণ করা হয়েছিল তখন প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীর কিছু সদস্য ট্রেন ছেড়ে আশেপাশের পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, হামলার সময় পালিয়ে যাওয়া ও আশেপাশের এলাকায় যাওয়া যাত্রীদের খুঁজে বের করার জন্য সেনাবাহিনী কাজ করছে। কতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য মতে, প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী নিয়ে নয়টি বগিতে ট্রেনটি কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার রাজধানী পেশোয়ার যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্য ও আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ বিএলএকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদেন বলা হয়, বিএলএ হলো পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বেলুচিস্তানের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন অথবা স্বাধীনতা দাবিকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি। এর আগেও তারা সামরিক শিবির, রেলওয়ে স্টেশন এবং ট্রেনে আক্রমণ করেছে। তবে এই প্রথমবারের মতো তারা কোনো ট্রেন জিম্মি করল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনে কমপক্ষে ১০০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বালুচ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি না দিলে জিম্মিদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল।
হামলার সময়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা রেললাইনের একটি অংশ উড়িয়ে দেয় এবং একটি পাহাড়ি সুড়ঙ্গের কাছে ট্রেনে গুলি চালায়।
এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
সারাবাংলা/এমপি