Thursday 13 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে কুবি শিক্ষক

কুবি করেসপন্ডেন্ট
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৭

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম

কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগে বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদউল্লাহ খানকে আহ্বায়ক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. সাইফুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন ও সহকারী প্রক্টর ড. নাহিদা বেগম।

রেজিস্ট্রার অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ঐ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি পর্যবেক্ষণপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং সুপারিশসহ রিপোর্ট দাখিল করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে একটি উড়ো মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি তাকে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। মেইলে সেই শিক্ষার্থীর করা অভিযোগের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত নথিপত্রও যুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে তিনি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের বাহিরে থাকবেন। এ ছাড়াও এই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আমার কাছ থেকে কোনো স্টেটমেন্ট চাওয়া হলে আমি তা দিব।’

সারাবাংলা/এইচআই

কাজী এম. আনিছুল ইসলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আইপিএলে ২ বছর নিষিদ্ধ ব্রুক
১৩ মার্চ ২০২৫ ২১:০৪

আরো

সম্পর্কিত খবর