মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম: ৭/৮ কোটির পরিবর্তে ১৭/১৮ কোটি টাকা ব্যয়: প্রেস সচিব
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪১ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৬
ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে। ১০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে সৌদি আরবের কোনো ফান্ড ছিল না। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ১৭/১৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। অথচ দুর্নীতি না হলে ৭/৮ কোটি টাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা যেত।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচার ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। স্বৈরাচারের সমর্থকরা বলেছিল যে, এটা সৌদির আরবের ফান্ডের। সৌদি আরব এখানে একটা টাকাও দেয়নি। এই মসজিদের অনেক অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। অনেক ধরনের অনিয়ম। সেটা নিয়ে কেবিনেট মিটিংয়ে আলাপ হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় তদন্ত করার জন্য একটা কমিটি করে দিয়েছে।
‘প্রধান উপদেষ্টা কেবিনেট সচিবকে বলেছেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোতে দ্রুত প্রচুর জনবল নিয়োগ করতে। যেসব ভেকেন্সি আছে। কেবিনেট সচিব আগামী মিটিংয়ে এটা উপস্থাপন করবেন যে, কোথায় কোথায় দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। খুব দ্রুত করা হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, যেসব কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে পাওনা ছিল, আজকে সেগুলোর একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত এই দেনাগুলো পরিশোধ করা হবে। গ্রীষ্মকালে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। শীতকালে নেপালের বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা। তখন আমাদের কিন্তু বিদ্যুৎ কম প্রয়োজন হয়। শীতকালে আমাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেপালে কীভাবে পাঠানো যায়, সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ষাকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা হয়। চট্টগ্রামের মানুষ খুবই ভোগান্তিতে পড়েন। এটা নিয়ে আজকে কেবিনেটে অনেক আলোচনা হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যেসব প্রকল্প নেওয়ার কথা ছিল, সেই বিষয়গুলো বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আগামী বর্ষায় কমবে।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস