বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে রিকশাচালক হত্যার ঘটনায় মামলা
১৩ মার্চ ২০২৫ ২০:০৪
রাজশাহী: রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় রিকশাচালককে ছুরি মেরে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা করেন নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেনের (৪৮) স্ত্রী পরিবানু বেগম। বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
মামলার এজাহারে দেখা গেছে, আসামি করা হয়েছে দড়িখরবোনা এলাকার সোহেল রানা (৫০), নাইম (৪০), সপুরা এলাকার সুমন সরদার (৫০), বড়বনগ্রাম এলাকার মীর তারেক (৫০), ছোটবনগ্রাম এলাকার ফাইজুল হক ফাই (৫০) ও সুলতানাবাদ এলাকার রনি (৩৮)।
গত ৬ মার্চ নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান ও তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরদিন সন্ধ্যায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দড়িখড়বোনা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। গুলি ফোটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেলও।
মহাজনের রিকশা জমা করে এই রণক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন গোলাম হোসেন। তখনই একপক্ষ আরেক পক্ষের লোক ভেবে রিকশাচালক গোলামকে ছুরি মারে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
ছয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে রাজশাহীর এতিমখানায় ঠাঁই হয়েছিল কুমিল্লার গোলাম হোসেনের। তারপর বিয়ে, ঘর, সংসার- সবই হয়েছিল এই শহরে। তিনি দড়িখড়বোনা এলাকায় রেললাইনের পাশে দুই হাজার টাকা ভাড়ার একটি টিনের ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।
সারাবাংলা/এসআর
বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ বোয়ালিয়া থানা রাজশাহী রিকশাচালক হত্যা