Saturday 15 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে: সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩১ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৮

ছায়া সংসদে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ড. ফাহমিদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আমাদের ব্যবসায়ীরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত নয়। গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের রফতানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন সহযোগিতা কমবে।

বিগত সরকারের সময় যে অর্থনৈতিক তথ্য দেওয়া হয়েছিল তা ছিল গোঁজামিল নির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অর্থনৈতিক ডাটা কীভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়, বাংলাদেশ ছিল তার মধ্যে একটা অগ্রগণ্য দেশ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এফডিসিতে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে তারা মন মতো ডাটা ব্যবহার করতো। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশকে কমার্শিয়াল রেটে ঋণ নিতে হবে। যা পরিশোধ করা ও ঋণের শর্তপূরণ করা কঠিন। চীনের ঋণের ব্যাপারে সবসময় একটা সংশয় থাকে। অন্যান্য দেশের ঋণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স স্পষ্ট থাকলেও চীনের ক্ষেত্রে তা থাকে না। কোনোভাবেই আমাদের ঋণের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। গত ১৫ বছরে ঋণের টাকা ব্যাপক অপচয়, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। ঋণ পরিশোধে বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই ঋণ বোঝা হয়ে দঁাড়িয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী সরকারের আমলের ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছি কিনা? বিগত সরকারের আমলের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হতো। ভুল, মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে উন্নয়নের মিথ্যা গল্প শোনানো হতো। দেশের রিজার্ভ, জিডিপি, রফতানি আয়, দারিদ্র বিমোচন, খাদ্য উৎপাদন, বাল্য বিবাহ এমনকি প্রকৃত জনসংখ্যা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছিল বিগত সময়ে। সরকার যেভাবে চাইতো বিবিএস সেভাবেই তথ্য পরিসংখ্যান প্রদান করতো। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যকে বোগাস বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে রোড শো’র নামে রাষ্ট্রিয় অর্থ অপচায় করে প্রমোদ ভ্রমণ করা হয়েছে। দেশের খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য কখনো জানতে দেওয়া হয়নি। যে পরিমাণে ঋণ আদায় হতো তার চেয়ে বেশি অবলোপন হতো। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ তারকা হোটেলে বসে সুদহার ও ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দিতো। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন গত এক দশকের বেশি সময় সরকার যে ডাটা মেনিপুলেট করেছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য তা মোকাবিলা করা সম্ভব।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সিপিডি সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর