জনগণ যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়: আমীর খসরু
১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৬ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ২১:২৮
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশের জনগণ যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৫ মার্চ) নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের জনগণ তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির গণতান্ত্রিক সংসদ দেখতে জায়। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায়। এখন একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে গণতন্ত্রহীন দেশ হিসেবে, যেখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। অথচ জনগণ সমর্থিত সংসদ ও সরকার ব্যতীত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থনহীন কোনো সরকার কিংবা শুধু পুলিশ বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা দিয়ে কোনো দেশ চলতে পারে না। একটি গণতান্ত্রিক দেশের মূল শক্তি হচ্ছে তাদের জনগণের সমর্থিত একটি নির্বাচিত সরকার। এটাই মূলশক্তি। এটার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তারা চলে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশকে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডারের দিকে যাতে আমরা নিতে পারি, সকলে মিলে সেভাবে কাজ করতে হবে।’
পাঁচ আগস্টের পর মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, সেটা অনেক ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে। এটা ধরে রাখতে হলে আমাদের আগামী দিনগুলোতে একটা কথা মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার পতনের পরে দেশের মানুষের মনোজগতে যে বিশাল একটা পরিবর্তন হয়েছে, সেটা আমাদের ধারণ ও অনুধাবন করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য যার যার জায়গা থেকে একটি মুক্ত বাংলাদেশ যাতে পাই, গণতান্ত্রিক দেশ যাতে পাই, ব্যবসা-বাণিজ্য বা বিভিন্ন পেশা, সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যাতে, মেধা অনুযায়ী যাতে সবাই সমান সুযোগ পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের তাগিদ দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘রাজনীতিতে একে অপরের প্রতি সহনশীল, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, সম্মানবোধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও একে অপরকে সম্মান জানানো, এটা শিখতে হবে। তা না হলে শত সংস্কারেও কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না যায়, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। একটি স্বাধীন দেশে যাতে নিজেদের মতো করে থাকতে পারি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পার্থক্য থাকবে, মতভেদ থাকবে, মতপার্থক্য থাকবে, এরপরও একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ থাকতে হবে।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মনজারে খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সন্মানী সম্পাদক খান মো. আমিনুর রহমানের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান নুরুল করিম, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, সিএমইউজের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।
সারাবাংলা/আরডি/আরএস