মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান, পিস্তল-গুলি উদ্ধার
১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৮
মুন্সীগঞ্জ: অবৈধ বালুমহাল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। অভিযানে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ও একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর দুইটায় গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরে উপজেলা প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলন অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, গজারিয়া উপজেলার কালীরচর ও গুয়াগাছিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন যাবত একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৪মার্চ) রাত দশটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড ঢাকা জোন সম্মিলিতভাবে সেখানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, অভিযানের প্রথমে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে থাকা ১০-১১জন সন্ত্রাসী কৌশলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা আবার ফিরে আসে। এ সময় তারা আমাদের সাধারণ যাত্রী মনে করে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। কাছাকাছি আসার পরে তারা যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পায় তখন গুলিবর্ষণ করার প্রস্তুতি নেয়। তবে পরোক্ষণে তারা পিছু হটে। পরে বসুরচর এলাকায় তাদের ট্রলারটি ডুবিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ট্রলার থেকে একটি কাঠের বাক্স ভেসে উঠলে তা তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১টি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থলের অদূরে অবৈধ বালুমহালের সঙ্গে যুক্ত একটি বাল্কহেড ৩জন স্টাফসহ আটক করা হয়। জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলি গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে’।
কোস্টগার্ড ঢাকা জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাকিউল আহসান বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পথে চলাচলরত নৌযানসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। টহলের পাশাপাশি আকস্মিক সাড়াশি অভিযান, মোবাইল কোর্ট এবং যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কোস্ট গার্ড আওতাধীন এলাকা সমূহে ডাকাতি, চোরা চালান, মাদক পাচার, ছিনতাই এবং অবৈধ বালু উত্তোলন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে’।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিরাপদ রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে’।
সারাবাংলা/এইচআই