Sunday 16 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগের ব্যানার সরানো নিয়ে বিএনপি-যুবদল মারামারি, নিহত ১

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৫ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫০

মারামারিতে নিহত যুবদলকর্মী মোহাম্মদ কমর উদ্দিন (৩২)।

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দু’পক্ষের মারামারিতে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্যের ছবিসহ ব্যানার সরানোর নির্দেশের পর ওই যুবদল কর্মী ও তার লোকজনের সঙ্গে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মারামারি হয়।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আমিরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মোহাম্মদ কমর উদ্দিন (৩২) হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সর্তা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

একই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এরা হলেন, জামাল উদ্দিন তালুকদার (৪০), ওসমান গণি (৩৯) ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৪১)। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে কমরসহ যুবদলের কিছু নেতাকর্মী আমিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ছবিসম্বলিত ব্যানার লাগানো ছিল। তারা সেটি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়ে বেরিয়ে যান।

কিছুদূর যাবার পর তাদের ওপর ৫০-৬০ জন লোক অতর্কিতে হামলা করে। তখন উভয়পক্ষে মারামারিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়িতে জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কমর উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনরা তাকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন।

এদিকে হামলাকারীরা রাউজান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অনুসারী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে এ অভিযোগ নাকচ করে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, যারা হামলার অভিযোগ করছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে কোন্দলে মারামারি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ধারালো কিছুর আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, নিহত যুবক যুবদলের কর্মী। আর মারামারিতে জড়িত অন্যপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মী।’

‘তাদের মধ্যে আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল না। একেবারে আকস্মিকভাবে মারামারি হয়েছে। সাবেক এমপির ব্যানার সরানো নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত হবে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।’

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য কেউ রোববার সকাল পর্যন্ত থানায় যাননি বলে ওসি জানান।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি

আ.লীগের ব্যানার নিহত বিএনপি-যুবদল মারামারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর