ফ্রি নৌকা ভ্রমণের সুযোগ না পেয়ে কর্মচারীকে মারধর অ্যাডিশনাল ডিআইজির
১৬ মার্চ ২০২৫ ১২:৫৫ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫০
সিলেট: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে গিয়ে ফ্রি নৌকা না দেওয়ায় পর্যটনঘাটে কর্মরত উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীকে চড়থাপ্পড় মরার অভিযোগ উঠেছে সিলেট রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৫ মার্চ) কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের নৌকাঘাটের কর্মরত উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ও ঘাটের খাস কালেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী জাবেদ আহমদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সিলেট ডিআইজি অফিসের ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসেন। এ সময় সেখানে কর্মরত জাবেদ আহমদ নামের একজন ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমদের কাছে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৮০০ টাকা চান। ভাড়া চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গালিগালাজ ও চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে ঘাটে থাকা অন্যান্য মাঝি ও দায়িত্বরতরা প্রতিবাদ করে কিছু সময় নৌকা চলাচল বন্ধ রাখেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও থানার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভুক্তভোগী জাবেদ আহমদ সারাবাংলাকে জানান, ‘আমাদের সাদাপাথর নৌকাঘাটে এসে পুলিশের ওই কর্মকর্তা নৌকা চান। আমরা তাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৮০০ টাকা পরিশোধ করে নৌকা নেওয়ার বিষয়টি অবগত করা মাত্রই তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে চিনিস না,আমি অ্যাডিশনাল ডিআইজি। আমি টাকা দিয়ে কেন নৌকা নিবো। এ কথা বলেই অনেক মানুষের সামনে তিনি আমার গায়ে হাত তুলেন এবং কয়েকটি চড়থাপ্পড় মেরে চলে যান। এই ঘটনার পর নৌকাঘাটের মাঝিরা প্রতিবাদ করে কিছু সময় নৌকা চালানো বন্ধ করে দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি স্যার এসে সবাইকে শান্তনা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।’
এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিলেট ডিআইজি অফিসে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমদের মুঠোফোনে কল দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
একই সাথে সিলেট রেঞ্জ এর ডিআইজি, মো. মুশফেকুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। নৌকাঘাটে কর্মরত একজনের সঙ্গে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি পরে সমাধান হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার সাংবাদিকদের জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনার জন্য জাবেদ আহমদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সারাবাংলা/এমপি