গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য যেন বিনষ্ট না হয়: মাহবুব মোর্শেদ
১৬ মার্চ ২০২৫ ২২:০৭
জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলে বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন, যখন গণঅভ্যুত্থান সফল হয় তখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মতো দেশ গঠনের কথা ভাবে, যে যার মতো দাবি-দাওয়া জানাতে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, এই দাবিগুলো জানাতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য ছিল তা যেন বিনষ্ট না হয়।
রোববার (১৬ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ও পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল-২০২৫ তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট অধিভুক্ত পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেব বক্তৃতা করতে গিয়ে মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনেকে অনেক কিছু চায়। বিভিন্ন জন নানা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে, রাজপথে নামছে। ২৪ এর গণঅভুত্থানে যারা কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করেছেন তাদের মাঝেও আমরা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। এই বিভাজনটা খুব বাস্তব সম্মত। কারণ, যখন একটা গণঅভ্যুত্থান হয় তখন কিন্তু সমুদ্রের মতো প্রত্যেকটা স্রোত এসে এখানে জমা হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের যে ঐক্য, সে ঐক্যের প্রধান শিক্ষা হলো- আমাদের পারস্পারিক যে বিভেদ ও মতাদর্শিক যে ভিন্নতা- তা সত্ত্বেও যেন আমরা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এই বিষয়টি সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেন ভুলে গেছি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হয়। সকলের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমরা আর কখনো ফ্যাসিবাদী, কর্তৃতবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যাব না।’
জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সম্পাদক মাহবুব রনি।
এ সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।
সারাবাংলা/পিটিএম