পঞ্চগড়ে মাদরাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
১৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৬
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১১ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের (বলাৎকার) অভিযোগে রেজওয়ান পারভেজ (২২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে ধর্ষণের শিকার মাদরাসা শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজের বাড়ি জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বগদুলঝুলা সর্দারপাড়া এলাকায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ (রোববার) গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থী মারদাসার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আবাসিক শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজ তাকে জরুরি প্রয়োজনে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ (বলাৎকার) করে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে কোরআন শরীফের ওপর হাত দিয়ে কাউকে না জানাতে শপথ করান শিক্ষক।
১৭ মার্চ (সোমবার) রাতে মাদরাসার মসজিদের তারাবির নামাজের পর এক প্রতিবেশীকে দেখতে পেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে ছাত্রটি। পরে ঘটনাটি শিক্ষার্থীর বাবাকে জানানো হয়। এদিকে, ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। পরে তাকে আটক করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মামলায় দায়ের হলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে একই সময় উপস্থিত মানুষের সামনে ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সামনে অভিযোগ তুলেছেন আরেক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ওই মাদরাসার (লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা) মুহতামিম নুর নবী বলেন, রাতে মাদরাসায় স্থানীয়দের অবস্থান দেখে জানার চেষ্টা করা হলে তারা বিষয়টি না জানিয়ে আমাদের সেখান থেকে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে লোকজন ঘটনাটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত না করেই অভিযোগ তুলেছে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে রাতেই থানায় নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এইচআই