Wednesday 19 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা ডেটাবেইস ইসিকে ব্যবহারে একমত ইউএনএইচসিআর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৩ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৯

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর – ছবি : সারাবাংলা

ঢাকা: ‎রোহিঙ্গাদের ডাটা নির্বাচন কমিশনের সাথে ভাগাভাগি করার বিষয়ে একমত হয়েছে ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)।

বুধবার (১৯ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে  সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

হুমায়ুন কবীর বলেন, ইউএনএইচসিআর-এর কাছে যে তথ্য আছে, সেটা আমরা এবং সরকারও চাচ্ছে। সরকারের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের তথ্য শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে। এখন এই ডাটা আমরা কীভাবে পেতে পারি- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই তথ্য আমাদের কাছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, না অন্য কোথাও থাকবে, এটা নিয়ে সরকারের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এটা চুড়ান্ত হয়েছে যে এটা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) থাকবে। কীভাবে, কোথায়. কখন ব্যাবহার করতে হবে এটা নিয়ে আরো বসতে হবে। উনাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটা টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

এই ডাটা পেলে আমাদের বহুমাত্রিক সুবিধা হবে জানিয়ে, এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রোহিঙ্গারা আমাদের সিস্টেমে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। তাই যত দ্রুত এই ডাটা পাবো তত সুবিধা হবে। জানান, রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে আর এতো কষ্ট করতে হবে না। কেননা, আমরা ওই ডাটার সঙ্গে মিলে গেলেই তো আমারা বুঝবো রোহিঙ্গা।

তিনি আরো জানান, বৈঠকে তাদের সঙ্গে পাসপোর্টের বিষয়টাও আলোচনায় এসেছে। পাসপোর্ট আমাদের এনআইডি ব্যবহার করে। যদি এনআইডিকে আমরা ক্লিন করতে পারি, রোহিঙ্গা নেই এটা যদি নিশ্চিত করতে পারি এটা উনাদের জন্য (পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ) কনফরটেবল হবে।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্যমতে, দেশে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে জানিয়ে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম হচ্ছে শনাক্ত করার কাজ, এরপর শনাক্ত করার সাথে সাথেই তো আমরা এগুলো (এনআইডি) লক করে দেবো।

কতদিনের মধ্যে ডেটাবেইস পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করেছি ইমিডিয়েটলি দরকর। উনারা সম্মত হয়েছেন, তবে অনেকগুলো বৈঠক করা লাগবে। পরস্পরকে বুঝতে একটু সময় লাগবে। ডাটাটা এমনভাবে দেবে যেন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে পারি। কাজেই পুরো ডাটা যদি না পাই, সেটা তো পারবো না।

এছাড়া এই ডাটা নির্বাচন কমিশন কীভাবে ব্যবহার করবে, সারা দেশের সব নাগরিকের বেলায় নাকি চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে, এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাকি তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আরও সময় লাগবে।

সারাবাংলা/এনএল/আরএস

নির্বাচন কমিশন রোহিঙ্গা ডাটা