হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর পর অন্তত ৫৯১ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২০০-র বেশি শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সামরিক অভিযানে কিছুটা বিরতি থাকলেও, ইসরায়েল ফের হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এছাড়া, গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেও স্থল অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারপক্ষের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার হামাসকে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করে দাবি করেছেন যে, হামাস সংঘাত বাধিয়ে তুলেছে এবং বন্দিদের মুক্তি সংক্রান্ত সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরুর পর প্রথমবারের মতো তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। সংগঠনটি দাবি করেছে, তারা তিনটি রকেট নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, একটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে, আর বাকি দুটি জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে হামলা শুরু করে এবং জানিয়ে দেয় যে, বন্দিরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তারা হামলা অব্যাহত রাখবে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস এখনো ৫৯ জনকে জিম্মি করে রেখেছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর পাঁচজন কর্মী সাম্প্রতিক হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
বুধবার (১৯ মার্চ) জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহতে তাদের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ওই ভবনে হামলা চালায়নি এবং ঘটনাটি তদন্ত করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপগুলোর জন্য ইসরায়েল ও আইডিএফ-কে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করেছি এবং এখন থেকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ‘অগ্নির মধ্যে’ হবে।’