Saturday 22 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দখল নিলো সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ মার্চ ২০২৫ ১৫:১৫ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্ট প্যালেস পুনরুদ্ধার করেছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সর্বশেষ ঘাঁটি ছিল। দুই বছরের লড়াইয়ের পর এই পুনরুদ্ধার সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সেনারা প্যালেসের ভেতরে অবস্থান করছে। এক সুদানি সেনা কর্মকর্তা ভিডিওতে ঘোষণা দেন যে সেনারা এখন প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সুদানের তথ্যমন্ত্রী খালেদ আল-আইসার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ পতাকা পুনরায় উড়ছে, প্যালেস ফিরে এসেছে, আর আমাদের বিজয়ের যাত্রা চলবে।’

নাইল নদীর তীরে অবস্থিত রিপাবলিকান প্যালেস সুদানের যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত সরকারের প্রধান প্রশাসনিক ভবন ছিল এবং এটি দেশটির মুদ্রা ও ডাকটিকিটে স্থান পেয়েছে।

এই পুনরুদ্ধারের ফলে আরএসএফ পুরোপুরি খার্তুম থেকে বিতাড়িত হলো। তবে গোষ্ঠীটি আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরাজয় স্বীকার করেনি, এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে আরএসএফ দাবি করে যে তারা উত্তর দারফুরের কৌশলগত শহর আল-মালিহা দখল করেছে। সুদানের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে ওই এলাকায় তীব্র লড়াই চলছে, তবে তারা শহরটি হারিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি।

আল-মালিহা খার্তুম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি সুদানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এল-ফাশের শহরের কাছাকাছি, যেখানে প্রতিদিন আরএসএফ হামলা চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ)-এর প্রধান জানিয়েছেন, সুদানে চলমান যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং দুর্ভিক্ষের কারণে কিছু পরিবার ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। যদিও বেসরকারি সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

বিজ্ঞাপন

রিপাবলিকান প্যালেস একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের কেন্দ্র ছিল এবং ১৯৫৬ সালে স্বাধীন সুদানের প্রথম পতাকা এখানেই উত্তোলিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে স্বৈরশাসক ওমর আল-বাশিরকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর সুদান অস্থিতিশীলতার মধ্যে পড়ে। ২০২১ সালে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ব্যাহত করেন। এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।

সারাবাংলা/এনজে

দখল প্রেসিডেন্ট প্যালেস সুদান সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর