Saturday 22 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭২ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৪ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৬

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি এসেছে চট্টগ্রামের এক সমাবেশ থেকে। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এদিন দুপুর দুইটার দিকে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ, দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমানসহ অন্যান্য সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না, সারা বাংলা খবর দে, আওয়ামী লীগকে কবর দে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’-সহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিলটি আন্দরকিল্লা, লালদিঘী, কোতোয়ালী হয়ে নিউমার্কেট গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ তাদের সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা এর অ্যাকশন দেখতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই হাজারো মানুষের রক্তের ওপর আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো তালবাহানা নেওয়া হবে না। আপনারা আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে যত না দেরি করছেন তার চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছেন।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ দ্রুত নিষিদ্ধ করা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামবে জানিয়ে রাফি বলেন, ‘কোনোভাবে যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চিন্তা যদি কেউ করে থাকেন তাহলে এ দেশে জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি হবে। যদি আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতির করার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে সেটা আমাদের লাশের ওপর দিয়ে আসতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট দুই হাজার মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ হয়ে গেছে।’

রাফি আরও বলেন, ‘এখন শুধু অফিশিয়াল ঘোষণাটা বাকি। আমরা এখনও সে অপেক্ষায়। কিন্তু যদি সে ঘোষণা দিতে বিলম্ব করা হয় আবারও জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বাংলাদেশে।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো সিদ্ধান্ত ভারতের প্রেসক্রিপশনে হবে না। বাংলাদেশের কোনো সিদ্ধান্ত কচুক্ষেত থেকে হবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত হবে রাজপথ থেকে। প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ বলে, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। বরং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন ও ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। কচুক্ষেত থেকে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথ সুগম হবে। আমরা নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যেমে এ দেশের আগামীর পথচলা নির্ধারণ করব। কিন্তু যে কুচক্রীমহল এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে, আমরা আপনাদের বলতে চাই চূড়ান্ত মুক্তির পথ হচ্ছে মৃত্যু। ছাত্র-জনতা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজনে আরও আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিম শহীদ হব, তবুও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না।’

সারাবাংলা/আইসি/এসআর

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে সমাবেশ সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর