Sunday 23 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ মার্চ ২০২৫ ১৯:০৭ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ২০:১৮

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শনিবার (২২ মার্চ) ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমেলার নিয়মিত বৈঠকে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ দাবি জানান।

মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে তার দায় কেবল ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গের ওপরে চাপিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দায়মুক্তি দিলে গণঅভ্যুত্থানের সাঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। তারা যে স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্র নিয়ে নিপীড়ন চালিয়েছে তাতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায় সুস্পষ্ট। তাই খুন, গুম, হত্যা ও নিপীড়নের জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে; আগামীতে যাতে আর কোন ফ্যাসিবাদ জন্ম না নিতে পারে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য করি না। কারণ, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চরিত্রের বদলে মাফিয়া চরিত্র বেশি দেখা যায়। ফলে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে করণীয় নীতি-আদর্শ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।’’

রেজাউল করীম বলেন, ‘‘গণহত্যা, গুম-খুন ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখনো আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে দল হিসেবেই আওয়ামী লীগ নিপীড়নের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই স্বৈরাচারের পূর্ণাঙ্গ বিচার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন ও রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’’

তিনি বলেন, ‘‘রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। অপরাধীদের এখানো শাস্তি হয় নাই। এমন পরিস্থিতিতে যারা ফ্যাসিবাদী দলের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে তারা রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করছেন। তাই খুনিদের বিচারের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের আলাপ অনৈতিক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই ধরনের আলাপ-আলোচনাকে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী মনে করে।’’

বিজ্ঞাপন

রেজাউল করীম বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। স্বৈরাচার পতনকালে তাদের ভূমিকা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। ফলে সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে কোনো প্রচারণাকে ইসলামী আন্দোলন অকল্যাণকর মনে করে। একই সঙ্গে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপও কাম্য নয় বলে মনে করে।’’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাউয়ুম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এসআর

ইসলামী আন্দোলন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর