ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১৫৫ স্পট থাকবে মনিটরিংয়ে

কোলাজ ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আসছে ঈদ যাত্রায় যাতে সড়কে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সড়কে যানজট নিরসনে ১৫৫ স্পট চিহ্নিত করে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনা রোধেও নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ঈদের দিনগুলোতে ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-সিলেটসহ সকল জাতীয় মহাসড়কে ঈদের সাত দিন আগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদের সময় সাত দিনের জন্য সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চার লেন এবং ঝাওয়াল ব্রিজ চার লেন ২০ মার্চ থেকে চালু করা হয়েছে।

এদিকে কাঞ্চনপুর ব্রিজ সংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়ক ঈদের সময় খুলে দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা ব্রিজ ঈদের আগেই চালু করা হবে।

যানজটপ্রবণ এলাকায় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সদরঘাট, মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী ও ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে সিসিটিভি ও সার্চলাইট স্থাপন করা হয়েছে ও পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ১৫৫টি যানজটপ্রবণ স্পট মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। ঈদযাত্রার সময় যানবাহন চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঈদের সময় বিভিন্ন মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লক্কড়-ঝক্কড় যান চলাচল বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনালে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ সময় পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে যানজট এড়ানো যায়।

বিআরটিসি বিশেষ ঈদ সার্ভিস চালু করেছে এবং ৭৭৫টি বাস ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় পরিচালিত হচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বাস-সার্ভিস ব্যবস্থা নেওয়াহয়েছে।

২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী ৫ দিন সার্বক্ষণিক সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত সরানোর জন্য রেকার ও উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৯৯৯ এর মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মহাসড়কের পাশে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৩টি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। পদ্মা সেতু, যমুনা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ প্রধান সেতুগুলোর টোল প্লাজায় পর্যাপ্ত জনবল রাখা হয়েছে। ইলেকট্রনিক টোল আদায় ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যানজট এড়াতে
শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ঈদযাত্রার সময় যাত্রীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য বিআরটিএ কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।যোগাযোগের জন্য বিআরটিএ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর (০১৫৫০০৫১৬০৬, ০১৫৫০০৫৬৫৭৭ এবং ০১৫৫২১৪৬২২২)।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ঈদযাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন এবং যে কোনো সমস্যায় হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/এমপি

ঈদ যাত্রা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়