জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন করতে চায় ইসি
২৫ মার্চ ২০২৫ ২০:৫৯ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ২২:০৭
ঢাকা: আগামী জুনের মধ্যে আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদে আমাদের যে টার্গেট, তা ফুলফিল হয়ে গিয়েছে এবং জুনের মধ্যে আমরা এটা চূড়ান্ত করবো। সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনে কিছু প্রিন্ট মিসটেকসহ আমরা কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য। সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে। সংশোধনীটা হলে ডিলিমিটেশন করতে পারব। অন্যথায় যেভাবে আছে, সেভাবে নির্বাচনটা করতে হবে। এটা আমাদের জুনের মধ্যে করার পরিকল্পনা।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা পোলিং পারসনদের যে প্যানেল, সেই প্যানেলটাও আমরা জুলাই-আগস্টের দিকে প্রস্তুত করে ফেলব। রাজনীতিবিদসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডার যারা আছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের মতবিনিময় হবে।
আনেয়ারুল ইসলাম বলেন, অক্টোবরে যদি আমরা তফসিল ঘোষণার চিন্তা করি, তাহলে জুলাই আগস্টের ভেতরে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরকে টার্গেট করে সব ধরনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা থাকে, বিষয়গুলো আপনারা কতটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন হলো রাষ্ট্রের প্রতিটা অরগানের সহযোগিতার একটা ইন্টিগ্রেটেড রেজাল্ট। এখানে আমাদের বিশ্বাস নির্বাচন কমিশনকে সবাই সহযোগিতা করবে এবং এবারের নির্বাচন সবাই চাচ্ছে নজিরবিহীন সুন্দর নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্ভেজালভাবে নিরপেক্ষহীনভাবে এই কমিশন কাজ করতে সক্ষম। যেকোনো মূল্যেই হোক একটা ভালো নির্বাচনের বিকল্প নাই। সবাই নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। সবার সহযোগিতা পেলে একটা ভালো নির্বাচন হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় যারা ভিআইপি রয়েছেন, তারা যাতে মুভমেন্টের সময় কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে বিষয়টা আচরণবিধিতে আছে। সেটার সাথে নির্বাচিত সরকারের বাইরে ও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে, ভবিষ্যতে কেয়ারটেকার সরকারও থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে পদ-পদবির দিক থেকে অন্যান্য ভিআইপি, মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে ‘উপদেষ্টা’ শব্দটিও প্রস্তাব করা হবে।
সারাবাংলা/এনএল/আরএস