রোমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
২৭ মার্চ ২০২৫ ১০:১০ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১০:২৬
রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটি উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
ঢাকা: বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলোও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। সে ধারাবাহিকতায় দিবসটি পালন করে রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এদিন রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটি উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। এরপরে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার সময় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতির ত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, এবং সামগ্রিকভাবে লাখো শহিদ এবং মা-বোনদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের অবদান, দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের কল্যাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান, সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কাঙ্খিত সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সকলকে বর্তমান সরকারের অনুসৃত নীতি অনুযায়ী প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ