ফাঁকা সড়কে বাইকারদের বেপরোয়া গতি, দুর্ঘটনা আতঙ্কে পথচারীরা
৩১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৬ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৭
ঢাকা: সড়ক ভর্তি ঠাঁসা গাড়ি কিংবা হেল্পারদের হাঁক-ডাক, কোনোটিই নেই আজকের ঢাকার পথে। পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উপভোগ করতে ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। সেইসঙ্গে ছুটিতে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরাও। ফলে ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা। যদিও কিছু গণপরিবহন সড়কে যাত্রী পরিবহণ করছে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই যাতায়াত করছেন রিকশায়। আবার কেউ কেউ স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু এদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোটরসাইকেল। ফাঁকা সড়কে তীব্র গতিতে ছুটছে বাইকাররা।
সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শ্যামলী শিশু মেলা থেকে একটু সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন দুই পথচারী। তাদের পাশ দিয়ে এত জোড়ে দু’টি মোটরসাইকেল চলে গেল যে, ভয়ে ওই দুই পথচারী দৌড় দিতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে হাতে-হাঁটুতে ব্যাথা পান। হাবিবুর রহমান নামের ওই ব্যক্তি সারাবাংলাকে বলেন, ফাঁকা রাস্তায় বাইকাররা মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে দেয়। সামনে মানুষ, নাকি পশু- সেদিকে খেয়াল থাকে না।’
রিক্সা চালকরাও বললেন, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়াভাবে বাইক চালানো হয়। এদিকে সড়কে গাড়ির চাপ নেই। কিন্তু যে কয়েকটি কোম্পানি বাস চালু রেখেছে তারাও চলছে ঠেলাঠেলি করে। এক বাস আরেক বাসকে ওভারটেক করার যে চিরাচরিত রেষারেষি তা ছুটির দিনেও অব্যাহত। ঈদের দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে ঈদের নামাজ শেষ করে খেয়ে দেয়ে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। মিরপুর পল্লবী, ১১ নম্বর, ১০ নম্বর, ১ ও ২ নম্বর এলাকায় দেখা গেছে, কেউ বাসে, কেউ রিকশায়, কেউ হেঁটেই বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ যাচ্ছেন মোটরসাইকেল যোগে। এর মধ্যে পাঠাও চালকের সংখ্যা কম হলেও বেশিরভাগ দেখা গেছে নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন। আর ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন সর্বোচ্চ গতিতে।
পরিস্থান পরিবহণের চালক মসিউর রহমান সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘একে তো যাত্রী কম, তার ওপরে স্টপেজে থামালে চিৎকার শুরু করে।’ এদিকে যাত্রীরা বলছেন ভাড়া বেশি নিচ্ছে, সেইসঙ্গে সময় নিচ্ছে বেশি। জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী প্রতি সাধারণ ভাড়ার সঙ্গে ১০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে বাসগুলো।
ঢাকার রাস্তায় অধিকাংশ সময় ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করে। ফলে মোটরসাইকেল চালকরাও ধীরে চলতে বাধ্য হন। তবে ঈদে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চালকদের অধিকাংশই বয়সে কিশোর-তরুণ-যুবক। এক মোটরসাইকেলে তিনজন করে এবং হেলমেট ছাড়াই দেখা যাচ্ছে চালকদের। পথচারীরা বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চালানোয় অনেকটা আতঙ্কগ্রস্ত। রাস্তা পারাপারসহ চলাচলে তাদের এখন বেশি ভয় মোটরসাইকেল নিয়ে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম