Monday 07 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফিলিস্তিনে গণহত্যা: চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৪ রেস্তোরাঁয় হামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৪ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪০

মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে চারটি রেস্তোরাঁয় হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানের সামনে থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইনকিলাব মঞ্চ ও হেফাজতে ইসলাম, পাঁচলাইশ শাখার উদ্যেগে ‘মার্চ ফর গাজা’ ব্যানারে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে খণ্ড খণ্ড মিছিলগুলো একসঙ্গে হয়ে বিপ্লব উদ্যান থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে।

বিকেল চারটার দিকে মিছিলটি নাসিরাবাদ পার হতেই সানমার ওশান সিটি শপিংমল পাশে থাকা কেএফসি রেস্তোঁরার সামনে থেমে যায়। পরে মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারলে রেস্টুরেন্টির সামনের অংশের কাঁচ ভেঙে যায়। এরপর জিইসি মোড়ে গেলে মিছিল থেকে ডোমিনোস পিৎজ্জা নামে আরেকটি রেস্টুরেন্টেও ইট ছুঁড়েন বিক্ষুব্ধরা। পরে মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে টাইগারপাস যাওয়ার সময় কোকাকোলার সাইনবোর্ড থাকায় হোটেল জামান ও পিৎজ্জাহাট নামে আরও দুটি রেস্টুরেন্টে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় ওই রেস্টুরেন্টগুলোর সামনের অংশের কাঁচও ভেঙে পড়ে যায়।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় পোমা নামে একটি প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাহমুদা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন অনেকে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কয়েকটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। সেখানে আমাদের পুলিশের টিম গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। পুরো নগরজুড়েই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।’

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সোমবার বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়। গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের সব দেশে একসঙ্গে ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচি’ অর্থাৎ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সব জায়গায় কর্মসূচি পালনে সড়কে নেমেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।

সারাবাংলা/আইসি/এইচআই

কেএফসি পিৎজ্জাহাট ফিলিস্তিনে গণহত্যা রেস্তোরাঁয় হামলা