ফিলিস্তিনে গণহত্যা: সিলেটে কেএফসিসহ ৪ প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৮ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪২
সিলেট: ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সিলেট নগরীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, হোটেল রয়েল মার্ক, ইউনিমাট ও বাটা শো-রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি ফাস্টফুডের দোকানে ডিসপ্লে থাকা কোমলপানীয় পেপসি, কোকাকোলা, স্প্রাইট, ফানটা, সেভেন আপের শত শত বোতল ও কার্টুন রাস্তায় ফেলে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলা, দরগা গেইট ও আম্বরখানায় বিক্ষুব্ধ জনতা এসব ভাঙচুর চালায়।
এ দিকে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও রয়েল মার্ক হোটেল ভাঙচুর করার পর ভিতরে থাকা ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমলপানীয় নষ্ট করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া আরেকদল বিক্ষুব্ধ জনতা নগরীর দরগাগেইট এলাকায় জুতার কোম্পানি বাটার শো-রুমে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
পরে সেখান থেকে আম্বরখানা মোড়ে যাওয়ার পথে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানের ভিতরে থাকা কোমলপানীয় পেপসি, কোকাকোলা, স্প্রাইট, সেভেনআপ, ফ্যানটা এসব ইসরায়েলি পণ্য দাবি করে কার্টুন কার্টুন বোতল বাইরে ফেলে নষ্ট করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ওই সব দোকানের সাইনবোর্ড লক্ষ্য করে ঢিলও ছোঁড়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে ভবনটির দোতলা ও তিন তলায় কেএফসি, বাটার শো-রুমেকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ছে। এতে দোকানের কাঁচ ভেঙে যেতে দেখা যায়। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি বিক্ষুব্ধ জনতা আশেপাশের কয়েকটি হোটেলেও ভাঙচুর চালিয়েছে।
সিলেটে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, কেএফসি ও বাটা শো-রুমে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/এইচআই