ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আমি বঞ্চিত ছিলাম: ব্যারিস্টার তুরিন
৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০০ | আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৩১
ঢাকা: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। স্বপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালতে নিজেই শুনানি করেন তুরিন আফরোজ। এ সময় তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের সময় আমি ছয় বছর চাকরি থেকে বঞ্চিত ছিলাম। শেখ হাসিনার সহযোগীও ছিলাম না।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।
তুরিন আফরোজ আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আমি দু-তিন মিনিট কথা বলতে চাই। হত্যাচেষ্টার ঘটনার দিন আমার টিউমার অপারেশন হয়। আমি সব ডাক্তারি রিপোর্ট দিতে পারবো। আমি চার বছর ধরে মিডিয়ায় কিছু বলিনি বা লিখিনি। তবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করবো। ন্যায়বিচার পাবো বলেও আমি আশাবাদী।
এদিন দুপুর ১টার দিকে তুরিন আফরোজকে আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সুমন মিয়া। শুনানি শেষে তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ সময় তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আমাকে ১০ দিন কেন ২০ দিনের রিমান্ড দিয়ে দিন।’
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী আব্দুল জব্বার। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সেরে ওঠেন তিনি। ঘটনার সাত মাস পর গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন এই শিক্ষার্থী।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তুরিনসহ ৫০ জনের নাম রয়েছে। তুরিনের নাম ৩০ নম্বরে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
সারাবাংলা/আরএম/এমপি