ঢাকা: চৈত্রের শেষে ভ্যাপসা গরমে বাইরে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোদের প্রখরতা না থাকলেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে খেঁটে খাওয়া মানুষের জন্য এই আবহাওয়া কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। সংস্থাটির প্রতিদিনের পূর্বাভাস এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা পূর্বাভাস প্রতিবেদন বলছে, এদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এ পরিস্থিতি থাকতে পারে বৃস্পতিবারও। এদিন বৃষ্টি হতে পারে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়। পাশাপাশি ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবার শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবারও রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঘনীভূত হয় এবং সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়ে গতকাল (৮ এপ্রিল) দুপুর নাগাদ দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ এই সময়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।