ইসরায়েলি হামলায় গাজার শেষ কার্যকর হাসপাতাল ধ্বংস
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫২ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫০
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল আল-আহলি বাপ্তিস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হামলায় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং সার্জারি বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই তলা ভবন থেকে বিশাল অগ্নিকাণ্ড এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। ঘটনাস্থল থেকে রোগীসহ অনেককে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার থাকার কারণে তারা হাসপাতালটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এই হামলায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
হামাস পরিচালিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এতে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের জোরপূর্বক স্থানচ্যুত হতে হয়েছে।
আইডিএফ দাবি করেছে, তারা নাগরিকদের বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ক্ষতি এড়াতে পূর্ব সতর্কতা, নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহার ও আকাশ পর্যবেক্ষণের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিক জানান, হামলার আগে আইডিএফের একজন কর্মকর্তা জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসককে ফোন করে হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেন। ফোনে বলা হয়, ‘সব রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে হবে। আপনারা মাত্র ২০ মিনিট সময় পাবেন।’
যুদ্ধ শুরুর আগে ছোট একটি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আল-আহলি বর্তমানে গাজা সিটিতে একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল, কারণ আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ উত্তরের প্রায় সব হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে গেছে।
হামাস পরিচালিত সরকারের গণমাধ্যম দফতর এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আল-আহলি হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইসরায়েল একটি ভয়াবহ অপরাধ করেছে, যেখানে শত শত রোগী ও চিকিৎসাকর্মী অবস্থান করছিল।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরেও একই হাসপাতালে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। তখন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে দায়ী করলেও, ইসরায়েল দাবি করে এটি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর ব্যর্থ রকেট হামলার ফল।
সারাবাংলা/এনজে