বৈসাবির আনন্দে ভাসছে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদ
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩২
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে বৈসাবির আনন্দে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ। রোববার (১৩ এপ্রিল) মারমা জাতিগোষ্ঠির মানুষ ‘সাংগ্রাইং’ উৎসবে মেতে উঠেছে। এই উৎসব ৪দিন ধরে চলবে। এ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার র্যালিতে মারমারা বর্ণিল সাজে অংশ নেন। তারা নেচে গেয়ে শহরকে উৎসবমূখর করে তুলেন।
মারমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাইং। তিনদিন ধরে পালন করা হয় এই উৎসব। ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান, খেলাধুলার পাশাপাশি একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নতুন বছরকে বরণ করেন। জলকেলি নামে পরিচিত এই উৎসবে সব বয়সীরাই যোগ দেন। তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহনই বেশি দেখা যায়। নেচে গেয়ে তারা উল্লাস করেন।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পহেলা বৈশাখে বাঙ্গালীরা যেমন নতুন বছরকে বরণ করে তেমনি চাকমারা তিন দিন ধরে বিজু, ত্রিপুরারা তিনদিন ধরে বৈসু পালন করে। পাহাড়ে নতুন বছর পালনের জন্য সব মিলিয়ে ৪দিন ছুটিতে রয়েছে পাহাড়বাসী। সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খাগড়াছড়ি-বলেও মনে করেন তিনি।
পুলিশ সুপার মো. জুয়েল আরেফিন বলেন পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উৎসবে অংশ গ্রহনকারী সকলকেই নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। পাহাড়ের এই বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো নাশকতা করতে না পারে তার দিকে গভীর নজর রাখছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সারাবাংলা/এনজে