ভৈরবীর রাগালাপে নতুন আলোয় ছায়ানটের বর্ষবরণ চলেছে
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৫ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৮
ঢাকা: ভোরে সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সুরের মুর্ছনায় বাংলা নতুন বর্ষ ১৪৩২ কে স্বাগত জানিয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট। প্রতিবাররর মতো এবারো নতুন প্রভাতের নতুন আলোয় সুরের ছন্দে, বিশ্বব্যাপী মানবতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এ সময়ে, আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানায় ছায়ানট।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বর্ষের ভোরের আলো ফুটতেই সুপ্রিয়া দাসের ভৈরবী রাগালাপে শুরু হয় এ আয়োজন। এবার সুরের ছন্দে আলোয় আলোয় মুক্তির বারতা দেবে ছায়ানট। তাই ছায়ানটের এবারের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
ছায়ানটের ৫৮তম এ আয়োজন শুরু হয় নতুন বছরের প্রথম দিন ভোর সোয়া ৬ টায়।
অনুষ্ঠানসজ্জায় ৯টি সম্মেলক ও ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিযেছেন।
ছায়ানটের এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি এবং মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে সুরে সুরে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান ছায়ানটের। আর এবারের অনুষ্ঠানসজ্জায় ৯টি সম্মেলক ও ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।
এবার পুরুষ শিল্পীদের গায়ে ছিল মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি।
উল্লেখ্য, ষাটের দশকে রমনার বটমূলে যে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল ছায়ানট, এখন তা বাঙালির নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।
১৯৬৭ সালে নগরে যে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল ছায়ানট, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বছর ছাড়া প্রতিটি পহেলা বৈশাখেই সে অনুষ্ঠান হয়েছে; নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে সুরের মূর্ছনা আর কথামালায়। এবারই প্রথম সনজীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণ করছে ছায়ানট।
ঢাকার রমনা উদ্যানে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। দেখা যায় ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও।
অন্যদিকে বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র্যাবের কন্ট্রোল রুম।
সারাবাংলা/এনএল/এসআর