Tuesday 15 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সন‌্জীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণ

‎স্টাফ করেসপন্ডন্ট
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৫ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩১

‎ঢাকা: ‎১৯৬৭ সালে রমনা উদ্যানে যে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটিই এখন বাঙালির বর্ষবরণের অন্যতম বড় উতসব। ১৯৬৭ সালে যার হাত ধরে নগরে বর্ষবরণের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তাদের মাঝে সন‌্জীদা খাতুন ছিলেন সামনের সারিতে। তাকে ছাড়াই এবার নববর্ষকে বরণ করতে হলো ছায়ানটকে। কেননা তিনি গত ২৫ মার্চ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

‎‎এবারের বর্ষবরণের আয়োজনে সন‌্জীদা খাতুনকে স্মরণ করে বিশেষ কিছু আয়োজন না থাকলেও আয়োজকরা জানান, বর্ষবরণের বাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হবে সন‌্জীদা খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধা। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে করে, বর্ষবরণের মর্মবাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হবে সন‌্জীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানানো।

বিজ্ঞাপন

‎ছায়ানটের বর্ষবরণ কথনে প্রায় প্রতিবছরই থাকত ‎সন‌্জীদা খাতুনের বক্তব্য। এবার ছায়ানটের হয়ে বর্ষবরণ কথনে অংশ নেন নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী।

‎‎এ সময় তিনি বলেন, সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা ধারণ করলে মুক্তির পথ সুগম হবে। আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যে দেশের মানুষ সর্বজনের শান্তি-স্বস্তি -নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধর্ম জাতি বিত্তের বিভাজন ভাঙবে, গড়বে উদার সম্প্রীতির সহিঞ্চু সমাজ।

‎তিনি আরও বলেন, ‘সবাই ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ, আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবেই।’


‎সারওয়ার আলী বলেন, নববর্ষের উষালগ্নে, আজ চোখ ফেলি হিসাব-নিকাশের হালখাতায়। একদিকে মুক্তির জন-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের প্রত্যাশা, অন্যদিকে পীড়াদায়ক বিদ্বেষ-বিভক্তি, নারী-শিশুর অমানবিক মর্যাদাহানি ও অপরিণামদর্শী অসহিষ্ণুতা। সব অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সেই দায় নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

‎সারাবাংলা/এনএল/এসআর

ছায়ানট বর্ষবরণ সন্‌জীদা খাতুন