ঢাকা: সয়াবিন তেলের দাম সাময়িকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য ও রাজস্ব আদায়— এ দুটোর সমন্বয়েই দামটা বাড়ানো হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক এবং আমরা অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেল আমদানি-সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে বাজারে তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ফর্মুলা অনুযায়ী তেলের দাম আসে প্রায় ১৯৭ টাকা। কিন্তু আমরা আলোচনার ভিত্তিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা রাখতে সক্ষম হয়েছি।
প্রসঙ্গত: উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ক্যানোলা, সানফ্লাওয়ার, সয়াবিন ও পামওয়েলসহ সব ভোজ্যতেলের ওপর গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুল্ক, কর ও ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছিল সরকার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ইতোপূর্বে সরকার ভোজ্যতেলে মাসে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব অব্যাহতি দিয়েছিল। রমজানকেন্দ্রিক প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব অব্যাহতি দেওয়া হয়। নতুন মূল্য থেকে সরকার প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। আমরা আশা করি যে, সামনে আবার তেলের দাম আবার আমরা কমাতে পারব।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, দেশে মোটামুটি প্রায় ৩০ লাখ টন তেলের চাহিদা আছে। তার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ টন আমাদের স্থানীয় সয়াবিন তেল থেকে আসে। আমরা নতুন করে প্রায় ৬ লাখ টন রাইস ব্রাইন অয়েল বাজারে আনতে সক্ষম হয়েছি।