একমাত্র সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক: আদালতে মেঘনা
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৪ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৭
ঢাকা: সুন্দরী তরুণী দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, এদিন মেঘনাকে আদালতে আনে পুলিশ। পরে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর।
শুনানিতে তিনি বলেন, অভিনব কৌশলে রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার চক্র গড়ে তোলেন আসামিরা। দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করছেন তারা। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তার কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবির অভিযোগ উঠেছে।

আদালতে মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত
শুনানির একপর্যায়ে নিজের নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে আসামি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’ এরপর আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান বিচারক।
এ সময় মেঘনা বলেন, ‘আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। পরে কথা বলার অনুমতি চান তিনি। আদালত অনুমতি দিলে বলেন, এখানে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারেন? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?
একপর্যায়ে তাকে থামিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান বিচারক। এরপর মেঘনা বলেন, ‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। কোনো আইনজীবী পাবেন না বলেও জানানো হয়েছে। বিষয়টি হলো রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। যা মোটেও সত্য নয়।
এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বললেই আমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতকে দেওয়ান সমির বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। অথচ তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’
শুনানি শেষে দুজনকেই গ্রেফতার দেখান বিচারক। একই সঙ্গে সামিরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সারাবাংলা/আরএম/এনজে