Friday 02 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংস্কার নিয়ে বিএনপি সিরিয়াস বলেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৯ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপি সিরিয়াস বলেই ঐকমত্য তৈরিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফাওয়ারি আলোচনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলাকালে চা বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপরে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এগুলোর ওপরে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করেছি, তারপর জুডিশিয়ারি হবে, এরপরে নির্বাচন ব্যবস্থা। আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। আজকে যদি শেষ করতে না পারি, পরেও আলোচনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বোঝাতে চাচ্ছি, সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস বিএনপি। সংবিধান সংস্কারের মধ্যে ১৩১টি প্রস্তাব আছে, স্প্রেডশিটে আমরা পেয়েছিলাম মাত্র ৭০টি দফা। দফাওয়ারি আলোচনা চলছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্র ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকারের বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা করব। মোটাদাগে সংবিধান সংস্কারের মৌলিক বিষয়ে তারা যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব একটা জায়গায় আসার জন্য।’

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২৫টির মতো বিষয়ে একমত ও আংশিক একমত হয়েছি। বাকি অধিকাংশ বিষয়ে স্প্রেডশিটে আমরা একমত হতে পারি নাই। স্প্রেডশিটে বিভ্রান্ত সৃষ্টি ও মিসলিড করা হয়েছে। ১৩১ দফার মধ্য বিস্তারিত আলাপ আছে। কমিশনের মৌলিক প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলাপ করে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করা হবে। যে সংস্কারে জাতির কল্যাণ হয় সেটিই বিবেচনা করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘জুডিশিয়ারিতে অল্প বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করছি, আমাদের অনেকটা মিসলিড করার মতো হয়েছে। বিস্তারিত মতামত দিতে গিয়ে দেখা গেছে, দেড়শ’র বেশি দফা ছিল যার মধ্যে আমরা ৮৯টি দফার বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। যে সমস্ত বিষয়ে হ্যাঁ-না জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে গিয়ে দেখলাম বিস্তর ফারাক।’

‘যেমন বলা আছে- আর্টিকেল ৯৫ সংশোধনী ব্যতিরেকে এখনই যদি বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ জারি করা হয়, সেটার ক্ষেত্রে বর্তমান সংবিধানের অবস্থা বহাল রেখে বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ ও তার অধীনে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও আইনটার মধ্যে লেখা আছে কাউন্সিল গঠন করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিএনপি চায়, কিন্তু প্রক্রিয়া যেন সাংবিধানিকভাবে হয়। বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশের ক্ষমতাসহ সকল সংস্কার সাংবিধানিকভাবে হওয়া উচিত’- বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যাই হোক না কেন সেটা আনকনন্সিটিউশনাল (অসাংবিধানিক) হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা কন্সটিটিউশনে (সংবিধান) গৃহীত না হচ্ছে। কারণ, সেখানে অধ্যাদেশ করার মতো ক্ষমতা জুডিশিয়ারিকে দেওয়া হয় নাই। সবকিছু বিধিমাফিক হওয়া উচিত।’

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিএনপি সিরিয়াস সালাউদ্দিন আহমেদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর