সীমান্তে বিএসএফ’র লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় এনসিপি’র উদ্বেগ
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৩৪ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৭
ঢাকা: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে হাসিবুল আলম (২৪) নামক একজন বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় হাসিবুল আলমকে তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাতে ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে হাসিবুলের মৃত্যু হয় ।
এর আগে, গত ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম হোসেন (৩৫) নামক এক বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ। অমানবিকতার চরম দৃষ্টান্তস্বরূপ ওয়াসিম হোসেনের মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।
এভাবে সীমান্তে বিএসএফের লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দলটির সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানায় দলটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেছে, এনসিপি বিএসএফ কর্তৃক লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতাকে সরাসরি ভঙ্গ করে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের যুবকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি তাদের মরদেহের সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি মাসেই অন্তত তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের গড়নের সময় নানা সময়ে বাংলাদেশের তরুণরা সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কতিক তৎপরতা জারি রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ আগামীর সকল সরকারকে আহ্বান জানাই, রাষ্ট্রের তরফ থেকে সীমান্তবর্তী সকল জেলার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। একইসঙ্গে, ঢাকাকেন্দ্রিকতার বাইরে গিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি হাতে নিন। অভ্যুত্থানের সরকার হিসাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যার মতো এমন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করার জোর দাবি জানায় এনসিপি।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই