‘কামব্যাক’ কাকে বলে দেখিয়ে দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৭
শেষ বাঁশি বাজতে বাকি আর মাত্র ১১ মিনিট। তখনো ২ গোলে পিছিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঠিক তখনই রচিত হলো অবিশ্বাস্য এক কামব্যাকের রূপকথা। শেষ ৬ মিনিটে ৩ গোল করে বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মাতলেন হ্যারি ম্যাগুয়েররা। ম্যাগুয়েরের অন্তিম মুহূর্তের গোলেই ফরাসি ক্লাব লিঁওকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইউনাইটেড।
কোয়ার্টার ফাইনালে লিঁওর মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে ক্ষণে ক্ষণে পালটেছে ম্যাচের রূপ। ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন ম্যানুয়েল উগার্তে। বিরতির ঠিক আগে ডিয়োগো দালোতের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমির স্বপ্ন দেখা শুরু করে ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে তখন তারা ৪-২ গোলে এগিয়ে।
হাফ টাইমের পর পালটে যায় ম্যাচের চালচিত্র। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইউনাইটেডকে চেপে ধরে লিঁও। ৭১ মিনিটে অবশেষে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় তারা। তোলিসোর গোলে ব্যবধান কমায় লিঁও। ৬ মিনিট পর নিকোলাস তালিয়াফিকোর দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় লিঁও। নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ মিনিটের মাথায় গোল করে লিঁওকে এগিয়ে দেন রায়ান চেরকি। ৫ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে লাকাজাতের গোল লিঁওকে সেমির খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিল। দুই লেগ মিলিয়ে লিঁও তখন ৬-৪ ব্যবধানে এগিয়ে।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ইউনাইটেড যেন ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছে শেষ ১০ মিনিটে। ১১৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ১২০ মিনিটের মাথায় গোল করে আবার ম্যাচে সমতয়া ফেরান কোবি মাইনো। অ্যাগ্রিগেটে তখন ৬-৬ গোলে সমতা। টাইব্রেকারেই নির্ধারিত হবে দুই দলের ভাগ্য, মনে হচ্ছিল এমনটাই।
ঠিক তখনই হ্যারি ম্যাগুয়ের জাদু। ১২১ মিনিটে গোল করে ইউনাইটেডকে আনন্দে ভাসান এই ডিফেন্ডার। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অবিশ্বাস্য এক জয় নিয়ে সেমিতে পা রাখে ইউনাইটেড।
আগামী ১ মে সেমির প্রথম লেগে সান মেমের স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ কাব অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড। ৮ মে ওল্ড ট্রাফোর্ডে হবে সেমির দ্বিতীয় লেগ।
সারাবাংলা/এফএম