‘ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে অগ্রগতি না হলে যুক্তরাষ্ট্র সরে দাঁড়াবে’
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫২ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১২
প্যারিস থেকে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে যদি শিগগিরই কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তার শান্তি প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় মিত্রদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে নতুন উদ্যোগ নেওয়া।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুবিও বলেন, ‘যদি এই যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটি সম্ভব কি না, তা এখন খুব দ্রুত নির্ধারণ করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি শান্তি পরিকল্পনার খসড়া আলোচনায় উৎসাহজনক সাড়া পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, যদিও খসড়ার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। একই খসড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকেও জানানো হয়েছে।
রুবিও বলেন, ‘আমরা প্যারিসে এসেছি এই যুদ্ধ শেষ করতে কী কী প্রস্তাবনা থাকতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। যদি এটা বাস্তবসম্মত না হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো বলবেন—আমরা এখানেই থামছি। এটা আমাদের যুদ্ধ না, আমরা শুরু করিনি। আমরা ইউক্রেনকে তিন বছর ধরে সহায়তা করছি, কিন্তু এখন সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’
রুবিও আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ৮৭ দিন ধরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যুদ্ধ শেষের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন সময় এসেছে নির্ধারণ করার—এই শান্তি সম্ভব কি না।
এদিকে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ইউক্রেনের খারকিভ শহরের আবাসিক এলাকায় রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে একজন নিহত ও অন্তত ৬৭ জন আহত হন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও লোক আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রুবিওর এই সতর্কবার্তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি খনিজসম্পদ চুক্তির উদ্দেশ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউক্রেনের অর্থনীতিমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেঙ্কো সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ জানান, ‘আমরা আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত। এটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ও পুনর্গঠন তহবিল প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিচ্ছে।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধের কারণে প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়।
সারাবাংলা/এনজে