কার বিরুদ্ধে রাজপথে নামব, হাসিনা তো নেই: ফারুক
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৬ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫০
ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না, রাজপথে দাঁড়াতে চাই না। কার বিরুদ্ধে রাজপথে নামব, হাসিনা তো নেই।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘১/১১ এর মতো পরিস্থিতি কেউ যদি আবার সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে প্রয়োজনে আমরা আবার রাজপথে নামব। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বিএনপিকে আবার নিশ্চিহ্ন করতে যদি কেউ কোনো পরিকল্পনা করে, বাংলার মাটিতে সেটি কখনো সফল হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’
সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আসলে আপনারা চাচ্ছেনটা কী? একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, যার সুনাম বিশ্বব্যাপী, তিনি আসলে চাচ্ছেনটা কী? মানুষের চাওয়া তো একটাই। সেটা হল— নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত। আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) আপনার কাজ করে যাবেন, আপনার কাছে আমাদের চাওয়ার যে বিষয়টা, সেটি হল একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ।’
তিনি বলেন, ‘‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে দাবি আদায়ের জন্য আমরা ১৬ বছর লড়াই করছি; যে লড়াই করতে গিয়ে আমরা ইলিয়াস আলীকে হারিয়েছে, চৌধুরী আলমকে হারিয়েছি, সেই দাবিটাই হল একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে এত টালবাহানা কেন? কেন আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে আপনার মতো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে বলতে হয়েছে যে ‘আমরা সন্তুষ্ট নই’।’’
ফারুক বলেন, ‘গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ানো হয়েছে। জনগণ সুখে নেই, তারা সুখ চায়। সেই সুখটা হল বর্তমান সরকারের অধীনে শাহাবুদ্দিনের মতো একটি নির্বাচন হোক, সেই নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে তারা সরকার গঠন করে বাকিটুকু সংস্কার করবে।’
জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা আপনাদের নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমা করার কথা আপনারা কী করে বলেন? যার হাতে গণতন্ত্র, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জবাই হয়েছে, যারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, তাদের তো ক্ষমা করার প্রয়োজন নেই। তারা কখনো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে পারবে না।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত হোসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, ওলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসেন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এইচআই