পাবনায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ৫ কিশোর গ্রেফতার
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১০ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১২
পাবনা: নাটোর থেকে নিখোঁজের একদিন পর পাবনার চাটমোহরের ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশু শিক্ষার্থী জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ শিশু কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম আলম, আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদী, দুলাল হোসেনের ছেলে সাকিব, সুলতানের ছেলে সোহেল রানা ও চাটমোহর উপজেলার হরিপুরের শফিকুলের ছেলে আব্দুল্লাহ। গ্রেফতাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নাটোর ও চাটমোহর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে সিয়াম আলমকে আটক করে। পরে তার স্বীকারক্তি অনুযায়ী অন্যান্যদের আটক করা হয়।
মনজুরুল আলম আরও জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে সিয়াম আলম ছাড়া অন্যান্যরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে যে, পহেলা বৈশাখে মেয়ে এনে তার রাতভর ফুর্তি করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আগে থেকেই টাকা তুলে গাঁজা কেনে এবং জুঁইকে টার্গেট করে। সে মোতাবেক পহেলা বৈশাখের দিন (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সেখ সাদী জুঁইদের বাড়ির পাশে আম বাগানে বসে থাকে। জুঁই আম বাগানে আম কুড়াতে ও খেলতে আসলে সেখ সাদী জুঁইকে ধরে পাশের কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে চারজন একত্রিত হয়ে জুঁইকে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন করে। পরে সেখান থেকে জুঁইয়ের আধামরা দেহ ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে সিয়াম আলমকে প্রলদ্ধ করে জুঁইকে ধর্ষণ করায়। এরপর জুঁইয়ের পরিহিত প্যান্ট দিয়ে শ্বাসরোধে করে হত্যার পর মুখে এসিড ঢেলে ঝলসে দিয়ে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরের দিন (১৫ এপ্রিল) স্থানীয়রা ভুট্টা ক্ষেত থেকে জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
সারাবাংলা/এনজে