ঢাকা: জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে শুনানি করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ছিলেন।
আইনজীবী রাফিউল বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় স্থগিতের ফলে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা। এ নিয়ে আন্দোল করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। রায় স্থগিত হওয়ায় আন্দোলনের যৌক্তিকতা আর থাকে না।’
কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর এবং অধিদফতরের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড ও নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ এর দুটি সিরিয়াল (২৭ ও ২৮) চ্যালেঞ্জ করে গত বছর হাইকোর্টে রিট করেন ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর মো. আশিক মিয়াসহ কয়েকজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে রিট আবেদনকারীদের (ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর) জন্য কিছু পদ রাখতে বা সন্নিবেশিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পদ না থাকলে যোগ্যতাসাপেক্ষে যেকোনো উপায়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দিতে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল লিভ টু আপিল করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য. পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করা। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল ও সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করা।