নির্বাচনি আচরণবিধি চূড়ান্ত করতে আলোচনার পরামর্শ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৮ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৯
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক
ঢাকা: রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত ‘আচরণ বিধিমালা’ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বৈঠকে কমিশন বরাবর ৩১ দফা লিখিত সুপারিশ দেওয়া হয়েছে- জানিয়ে তিনি বলেন, “ইসি একটা খসড়া আচরণবিধি তৈরি করছে। এটা এখনও পাবলিক করে নি। বৈঠকে আমরা আচরণবিধির বিষয়ে বেশ কিছু মতামত দিয়েছি। আমরা বলেছি, এক তরফাভাবে আচরণবিধি চূড়ান্ত না করে ইসি যেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে, বিচার বিবেচনা আমলে নিয়ে এটা প্রণয়ন করে- তাহলে এটার এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে, কার্যকর হবে।”
সাইফুল হক বলেন, “ইসির স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার প্রয়োগ দেখতে চাই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ হাজির করেছি। একই সাথে বলেছি, ইসিকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার।” ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ মাধ্যমে ইসির ব্যত্যয় ঘটলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে- বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা করেন ডিসি, এসপি, ওসিসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখানে নির্বাচনী ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিয় অফিসারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। ইসির জনবল বাড়িয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচন কমিশনে যদি ফেরেশতাও বসানো হয়, তাহলেও ইসি আসলে কোনো ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এটা যৌথ অর্কেস্ট্রার মতো। এখানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে; আমরা বিশ্বাস করি যে, তারা অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চান। যেহেতু তাদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকবার কথা নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিকতা, ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহনের সচেতন ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা ত্রয়োদশ সংসদের অর্থপূর্ণ কার্যকর নির্বাচন দেখতে পাবো।”
তিনি বলেন, “ইসি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ করেছে। ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে তারা প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দল, অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ, আলাপ আলোচনা করে নিশ্চয়ই অচিরেই নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের সূচি বা শিডিউল ইসিকে ঘোষণা করতে হবে। সুতরাং, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার, দলগুলো ভোটারদের বিপুল প্রত্যাশা রেখে ইসি যত বেশি সম্ভব, স্বল্পতম সময়ে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করতে পারেন। বলেন, তাহলে মানুষ সরকার, ইসিকে সাধুবাদ জানাবে।”
সারাবাংলা/এনএল/আরএস
আচারণ বিধিমালা নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি