Tuesday 22 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারি হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০২ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৪

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে একলামশিয়া রোগে চিকিৎসাধীন ভক্তি রানী নামে এক নারী রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের একলামশিয়া ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ভক্তি রানী জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ছোবারভিটা গ্রামের সুধীর রায়ের মেয়ে।

ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ৮টার দিকে একলামশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভক্তি রানীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার পরিবার। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসক বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে স্যালাইন দেন। স্যালাইন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এভাবে তার শরীরে দুই বোতল ১০০ মিলিগ্রামের স্যালাইন পুশ করার পর দেখা যায় স্যালাইনের মেয়াদ নেই। হাসপাতাল থেকে দেওয়া স্যালাইনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। একটি স্যালাইনের প্যাকেটে তারিখ ১২/২০২৪ অর্থাৎ চার মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়েছে।

এদিকে রোগীর স্বজন অনিল চন্দ্র রায় বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ভক্তি রানীকে ডাক্তার স্যালাইন দেন। কিন্তু স্যালাইনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় পরেও নার্সরা ভক্তি রানীর শরীরে পুশ করে। চিকিৎসা নিতে এসে এ রকম বিড়ম্বনা শিকার হব জানি না। স্যালাইন পুশ করার পর কাউকে চিনতে পারে না । এখনো সে খুবই অসুস্থ।

রোগীর অন্য আরেকজন স্বজন বলেন, ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স স্যালাইন পুশ করেছে। একটা স্যালাইন শেষ হয়েছে, পরে আরেকটি নতুন স্যালাইন দিলে লক্ষ্য করি স্যালাইনটির মেয়াদ চার মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরের স্যালাইন খুলে ফেলা হয়। নার্স মেয়াদে তারিখ না দেখেই স্যালাইন পুশ করে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, সরকারি স্যালাইন ছিল। রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার পরে দেখি স্যালাইন এর মেয়াদ চার মাস আগেই শেষ হয়েছে। আমরা দেখামাত্রই স্যালাইন খুলে ফেলেছি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ মল্লিকার কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ও বর্তমান পর্যাপ্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের কাছে এখন সেই স্যালাইন পর্যাপ্ত রয়েছে। রাতে কি কারণে সিনিয়র স্টাফ নার্স বাইরে থেকে কিনতে বলেছে আমি জানি না। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তাদের সঙ্গে কথা বলুন।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন কিভাবে ঘটনাটি ঘটল জানার চেষ্টা করছি। আপাতত রোগীটি সুস্থ আছে।

সারাবাংলা/এইচআই

একলামশিয়া রোগ গাইনি ওয়ার্ড পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর