১২ বছর ধরে ঝুলে আছে রানা প্লাজা ধসের বিচার, ক্ষতিপূরণ দাবি
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২১ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩০
ঢাকা: এক যুগ পেরিয়ে গেলেও রানা প্লাজা ধসের দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ওই দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি। শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও স্মৃতিফলক স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি আইন সহায়তা সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত হন এবং আরও অন্তত ১ হাজার ৭৬৯ জন আহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও তরুণ। ব্লাস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রানা প্লাজার ঘটনায় দায়ের হওয়া ১১টি শ্রম (ফৌজদারি) মামলা এখনও ঢাকার দ্বিতীয় শ্রম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর্যায়ে রয়েছে, চারটি মামলার নোটিশ পত্রিকায় প্রকাশের অপেক্ষায় এবং বাকি তিনটি মামলার কজলিস্টে তারিখ বা নম্বর হালনাগাদ হয়নি।
এছাড়া দায়রা আদালতে তিনটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলা ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২-এর আওতায় হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে। বাকি দুটি মামলা দণ্ডবিধির আওতায় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একত্রে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ইতোমধ্যে ৯৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৯ মে।
ব্লাস্টের তথ্যমতে, শ্রম আইনে নিহত শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ২ লাখ এবং আহতদের জন্য আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ বর্তমান বাস্তবতায় অপ্রতুল ও অযৌক্তিক। তারা ভবিষ্যৎ আয়, চিকিৎসা, মানসিক চাপ, পরিবারের পোষ্যদের খরচ এবং আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় ক্ষতিপূরণের হার পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।
ব্লাস্টের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি, গণমাধ্যমে অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা, আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে ক্ষতিপূরণ, আহতদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, এবং জুরাইন কবরস্থানে নিহতদের নামসহ স্মৃতিফলক নির্মাণ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি